ব্রাহ্মবাড়িয়া জেলায় অডিশনের মাধ্যমে হিফজুল কুরআন ২০২০ প্রতিযোগীতা শুরু
বাংলাদেশের রেলপথ ব্যবহার করতে চায় ভারত
করোনার তান্ডবে পুরো বিশ্বের অর্থনীতির অবস্থা তলানিতে পৌছে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সচল রাখতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বিদ্যমান রেলের চারটি রুটকে পণ্য পরিবহনে ব্যবহারের প্রস্তাব করেছে ভারত।
করোনা যেন স্থল এবং আকাশ পথের মাধ্যমে না ছড়াতে পারে এজন্য গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে স্থলবন্দরের পাশাপাশি ফ্লাইট পরিচালনাও বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ ও ভারত সরকার। কিন্তু সে সময় পণ্য পরিবহনকে এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রাখা হয়। এরপরও আশানুরুপ কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (০৪-০৫-২০২০ইং) ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের নিজস্ব উদ্যোগে বাংলাদেশের বাণিজ্য, পররাষ্ট্র ও রেলপথ মন্ত্রণালয়সহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করে।
উক্ত বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং উন্নয়ন করা। ভিডিও কনফারেন্সে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ সারোয়ার মাহমুদ, বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন, এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান যোগ দেন। অন্য প্রান্তে ছিলেন ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাসের নেতৃত্বে ভারতীয় অন্যান্য কুটনীতিকরারা।
ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাস জানান, কভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এ চ্যালেঞ্জ উত্তরণ করে উদ্ভাবনী কোনো সমাধান বের করা নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সূত্র ধরে সরবরাহ ব্যবস্থা, পণ্যের চলাচলের সঙ্গে নিত্যপণ্যের আনা-নেয়া, সমন্বিত চেকপোস্টে ও স্থলবন্দরগুলোয় বাণিজ্য সুবিধা, শুল্ক ও অশুল্ক বাধাগুলো চিহ্নিত করার পাশাপাশি বিনিয়োগ সহজীকরণ নিয়ে আলোচনা হয়।
তিনি আরোও জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গেদে-দর্শনা, রোহানপুর-শিংহাবাদ, পেট্রাপোল-বেনাপোল ও রাধিকাপুর-বিড়ল এ চারটি রেল সংযোগ বিদ্যমান রয়েছে এবং এ চারটি রুট দিয়েই পণ্য পরিবহনের অনুমতি রয়েছে। যেহেতু এই চারটি রুট অনুমদিত সেহেতু দুই দেশের পণ্য পরিবহনে এ রুট চারটি ব্যবহারের প্রস্তাব দেয়া হয়। এতে রেলওয়েতে পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে সমন্বিত চেকপোস্ট এবং স্থলবন্দরগুলোয় চাপ কমানোর বিষয়ে একমত পোষণ করেন বৈঠকে যোগ দেয়া কর্মকর্তারা।