৩৮ দেশে ছড়িয়ে পরেছে অমিক্রন, মৃত্যুর কোন খবর নেইঃ ডব্লিউএইচও
মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষনের পর গলায় উড়না পেঁচিয়ে হত্যা
বর্বরতা ও হিংস্রতা দেখতে দেখতে মানুষ এখন নিজেও মনুষ্যত্ব ভুলে জড়িয়ে পরছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে। সারা দেশ থেকে প্রতিটি দিন খবর আসছে হত্যা কিন্তু আগে ধর্ষণ করা হয়েছে। কতটুকু পশুতে পরিণত হলে মানুষ ধর্ষণের পর একটি মানুষকে নিশ্চিন্তে হত্যা করতে পারে। নাটোরবাসী সেই ঘটনাটিই দেখল গত রবিবার।
নাম তার হালিমা, বয়স মাত্র ১২ বছর। মাদ্রাসায় পড়াশুনা করত। নাটোর জেলার বড়াইগ্রামে তাদের বাড়ি। একই গ্রামের মুসা প্রামাণিকের ছেলে
লাদেন আলীকে সে ভালবাসতো। সেই ভালবাসার মানুষটিই আজ হিংস্র থাবা বসালো হালিমার উপর।
পুলিশ রোববার রাত ১১ টার দিকে উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের সাতঔল বিলের ব্রিজের পাশ থেকে হালিমার মরদেহ উদ্ধার করে। হালিমা খাতুন ওই ইউনিয়নের গারফা গ্রামের হাসেন আলীর মেয়ে ও গারফা দাখিল মাদ্রাসার ছাত্রী।
এলাকাবাসীরা জানায়, লাদেন নামে হালিমার সেই কথিত প্রেমিকের সাথে দেখা করতে আনুমানিক রাত ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয় হালিমা। ঠিক ১ ঘন্টা পর রাত ১১টার দিকে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় গাছের ডালে হালিমার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় তারা। এসময় হালিমা খাতুন আত্মহত্যা করেছে বলে প্রেমিক লাদেন আলী চিৎকার করতে থাকে।
হালিমা খাতুনের বাবা হাসেন আলী অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবেশি লাদেন আলীর সাথে দেখা করতে গিয়েই আমার মেয়ে লাশ হল। তিনি বলেন, হালিমাকে ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পরে মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে দেয় ওই লাদেন।
এদিকে সোমবার সকালে লাদেন আলীর বাড়িতে গেলে বাড়ির দরজা তালাবদ্ধ পায় সাংবাদিকরা। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নাটোর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কুমার দাস জানান, মেয়েটির যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত বের হওয়ার আলামত পাওয়া গেছে। কথিত প্রেমিক লাদেনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসল তথ্য বের করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
একই এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লাদেনের এক বন্ধু বলেন, লাদেনকে গ্রেফতার করলে সকল সত্য জানা যাবে। তবে, ঘটনাটি অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য লাদেনের পরিবার মোটা অংঙ্কের টাকা খরচ করে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে বিভিন্ন প্রভাবশালী মানুষের কাছে তদবির করছেন।