৩৮ দেশে ছড়িয়ে পরেছে অমিক্রন, মৃত্যুর কোন খবর নেইঃ ডব্লিউএইচও
ম্যাচ ফিক্সিং এর কলটি আসলে কোন ধরনের টুর্নামেন্টের জন্য বিষয়টি এখনো ধোঁয়াশা
সাকিবের বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিং এর যে অভিযোগ উঠেছে তা আসলে কোন ধরনের ম্যাচ বা টুর্নামেন্ট এর জন্য উঠেছে তা পরিস্কার হয়েছে বিসিবির সিইও এর কথায়। তিনি বলেন, সাকিব জাতীয় দল অথবা ঘরোয়া কোন লীগ খেলার জন্য এই প্রস্তাব পাননি। তাহলে কি তীরটি এখন গিয়ে পরছে ফ্রাঞ্চাইজি লীগের উপর? এটিও কিন্তু তিনি পরিস্কার করে বলেননি। তিনি ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, কোন ভীনদেশী লীগে হয়তো এই প্রস্তাবটি পেয়ে থাকতে পারেন। তবে, নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন এই সম্পর্কে সরাসরি কিছু না বললেও ক্রিকেট বোর্ড এর একটি সুত্র নিশ্চত করেন, সাকিব ম্যাচ ফিক্সিং এর প্রস্তাবটি পেয়েছেন আইপিএল এর যেকোন একটি আসরে এবং জুয়ারী থেকে কল আসে তার কাছে। আইসিসির নথিতে সে একজন অন্যতম শীর্ষ জুয়ারী। এজন্য বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর এবং পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
বিসিবি থেকে জানানো হয়, আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে প্রথমে ম্যাচ ফিক্সিং এর কল পাওয়ার কথা মনে করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। পরে তথ্য ও প্রমান উপস্থাপন করার পর তিনি বলেন তার মনে পরেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে প্রায় দুই বছর আগে। একজন নামকরা জুয়ারী সাকিবকে ফিক্সিং এর প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সাকিব তার প্রস্তাব প্রত্যাখান করে। পরবর্তিতে ঘটনাটি আইসিসিকে জানানোর নিয়ম থাকলেও সাকিব ঘটনাটি চেপে যান। যে জুয়ারী তাকে প্রস্তাব করে ছিল সে আইসিসির কালো তালিকা ভুক্ত। যেহেতু আইসিসির কাছে এটি প্রমানিত হয়েছে সেহেতু সাকিব ১৮ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন। তবে তিনি যদি সাজা কমানোর আবেদন করেন তবে সাজা ৬ মাসে নেমে যাওয়ার সুযোগ আছে।
সাকিবের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আসলে বিষয়টি আমি এতোটা গুরুত্বের সাথে দেখি নি। যেহেতু আমি ফিক্সিং করবো না বা করার মন-মানসিকতা আমার ছিল না সেহেতু ভেবেছি এটি না বললেই হয়তো ভালো হবে। কিন্তু এই লুকানো বা প্রয়োজন নেই বলার এই বিষয়টিই এখন আমার জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে।